মোবাইল চুরি হওয়া বা মোবাইল হারিয়ে যাওয়া খুব কমন একটি সমস্যা। আবার কখনো কখনো মনের অজান্তে কোথাও মোবাইল ফোন ফেলে আসলে অনেক দুশ্চিন্তার মাঝে পড়তে হয়। মোবাইল হারিয়ে গেলে এক দিকে যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়, অন্যদিকে মোবাইলে থাকা বিভিন্ন ইনফরমেশন অন্যের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আজকাল আমরা মোবাইল ফোনে আমাদের প্রয়োজনীয় প্রায় সকল ডকুমেন্টস সেভ করে রাখি। স্মার্টফোন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গি হওয়ার কারণে প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে অফিসের প্রয়োজনীয় সকল তথ্যাদি মোবাইলে রাখতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। আর যখন সেই মোবাইল চুরি হয় বা হরিয়ে যায়, তখন মোবাইলের চাইতে মোবাইলে থাকা তথ্য নিয়ে আমাদেরকে বেশি দুঃশ্চিন্তা করতে হয়।
ফোন হারানোর যন্ত্রণা সবাইকে কখনো না কখনো পেতে হয়েছে। সোফার খাঁজে লুকাল, নাকি অফিসের ফাইলের ভীতরে রেখ আসলে, নাকি বাসাতেই রেখে এলেন—মুহুর্তে নানা দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরে আপনাকে। অন্য কোনো নম্বর থেকে ফোন করে নিশ্চিত হবেন, সে উপায়ও হয়তো নেই! নিজেই যে মোবাইলকে ‘সাইলেন্ট’ মুডে রেখেছিলেন কাজের সুবিধার্থে! এমন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ গুগল করে দিয়েছে। আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে বা খুঁজে না পেলে প্রাথমিক অবস্থায় থানা পুলিশের কাছে না গিয়ে নিজে নিজে কয়েকটি স্টেপ অনুসরণ করে আপনার ফোনটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
এগুলো পড়তে পারেন -
এগুলো পড়তে পারেন -
আমরা আজকের পোস্টে শেয়ার করব কিভাবে নিজে নিজে আপনার হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইলটি খুঁজে বের করবেন? আশাকরি টিপসগুলো ফলো করলে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া খুব সহজে আপনার চুরি হওয়া স্মার্টফোনটি নিজে খুজে বের করতে পারবেন। সেই সাথে একটি মোবাইল হারিয়ে গেলে কোনো সফটওয়ার দিয়ে IMEI এর মাধ্যমে হারানো মোবাইল খুঁজে বের করা যায় কি না, সেই বিষয়েও আলোচন করব।
তবে আপনি যদি এ সব ঝামেলায় না গিয়ে সরাসরি থানা পুলিশের সহায়তায় মোবাইলটি বের করতে চান, তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট না পড়ে সরাসরি পোস্টের নিচের অংশে চলে যেতে পারেন। কারণ থানা পুলিশের সাহায্য নেওয়ার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় থানার ওসি সাহেব এর বরাবরে হারানো বা চুরি হওয়া মোবাইল সম্পর্কে জিডি (জেনারেল ডায়রী) করার আবেদন করতে হবে। কিভাবে জিডি’র আবেদন করবেন সে বিষয়ে পোস্টের নিচে বিস্তারি দেওয়া আছে। তাছাড়া একটি হারানোর মোবাইলে জিডি’র আবেদন এর নমুনা (সফট কপি) পোস্টের নিচের অংশ হতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
মোবাইল চুরি হলে খুঁজে পাওয়ার উপায় কি?
মোবাইল চুরি হলে খুঁজে পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে হারানো মোবাইল খুঁজে বের করার বিষয়ে আমাদের মাথায় যেসব নরমাল চিন্তা আসে সেগুলো নিয়ে আলোচন করা যাক। তারপর মোবাইল চুরি হলে খুঁজে পাওয়ার উপায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মোবাইল চোর ধরার উপায়
কারো স্মার্টফোনটি চুরি হয়েগেলে বা হারিয়ে গেলে তখন অনেকে অনলাইন টুলস বা সফটওয়ার এর সাহায্যে মোবাইল চোর ধরা বা মোবাইল উদ্ধার করার প্রসেস খুঁজে থাকেন। আপনি পরিষ্কারভাবে জেনে রাখেন, হারানোর মোবাইল খুঁজে পাওয়ার জন্য যে অনলাইন টুলস ও সফটওয়ার রয়েছে সেগুলো মোবাইল হারানোর পূর্বে আপনার মোবাইলে ইনস্টল না থাকলে আপনি কখনো সেই সফটওয়ার ব্যবহার করে আপনার চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধার করতে পারবেন না। মোবাইল উদ্ধারের জন্য আপনি যে টুলস বা সফটওয়ার ব্যবহার করুন না কেন সেই সফটওয়ারের মাধ্যমে মোবাইল খুঁজতে হলে মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার আগে অবশ্যই সেই সফটওয়ারটি আপনার ফোনে ইনস্টল করে রাখতে হবে। তবেই আপনি সফটওয়ারের সাহায্যে মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করতে পারবেন। নিচের যেকোন একটি মোবাইল এ্যাপ আপনার ফোনে ইনস্টল করা থাকলে, ফোন খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করতে পারবেন।
মোবাইল চোর ধরার সফটওয়্যার
- Google Find My Phone
- Wheres My Droid
- Plan B
- Lookout
- Last Phone
IMEI নাম্বার দিয়ে মোবাইল খুজে বের করা
মোবাইলের IMEI নাম্বারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। প্রত্যেকটি মোবাইলের IMEI নাম্বার আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। একটি মোবাইলের IMEI নাম্বার অন্যকোন মোবাইলের IMEI নাম্বারের সাথে মিল থাকে না। থানা পুলিশে সহায়তায় হারানো মোবাইল খুঁজার ক্ষেত্রে IMEI নাম্বার অবশ্যই লাগবে। আপনার চুরি হওয়া মোবাইলের IMEI নাম্বার আপনার জানা না থাকলে আপনি কোনভাবে আপনার মোবাইলটি খুঁজে পাবেন না। তবে এটাও পরিষ্কারভাবে জেনে রাখুন IMEI নাম্বার দিয়ে আপনি নিজে নিজে কখনো হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করতে পারবেন না। একমাত্র পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন প্রশাসনের লোক ব্যাতীত অন্য কেউ IMEI নাম্বার দিয়ে ফোনের লোকেশন ট্রাক করতে পারে না। কাজেই IMEI নাম্বার দিয়ে নিজে নিজে হারানো ফোন উদ্ধারের বিষয়টি ভূলে যান।
হারানো মোবাইল উদ্ধার করার উপায়
আপনার মোবাইল খোঁজে পাচ্ছেন না? কিংবা মোবাইল চুরি হয়েছে? কি করবেন? চিন্তার কোন কারণ নেই, গুগল আপনার হারানো ফোনটির লকেশন খুঁজে দেবে। আপনি হয়ত কথাটি শুনার পর আশ্চর্য হচ্ছেন, কিংবা হাসছেন!! আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, কিছু টিপস ফলো করে গুগল থেকে আপনার হারানো বা চুরি হওয়া ফোনটি খুঁজে নিতে পারবেন।
উপরের চিত্রে দেখুন আমার জিমেইল আইডি দিয়ে যতগুলো ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে, সবগুলো ফোনের মডেল সহ তালিকা দেখাচ্ছে। এখান থেকে আপনার হারানো ফোনটিতে ক্লিক করে জিমেইল আইডি এর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলে নিচের অপশনগুলো দেখতে পাবেন।
উপরের চিত্রের এই অপশন ব্যবহার করে আপনার হারানো ফোনটি ঘরে বসেই নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। উপরের চিত্রে তীর চিহ্নিত অংশে ক্লিক করে আপনার ফোনটি কোথায় আছে সেটি জেনে নিতে পারবেন।
উপরের চিত্রে দেখুন Locate এ ক্লিক করা মাত্র গুগল ম্যাপের মাধ্যমে গুগল আমার ফোনের বর্তমান অবস্থান দেখাচ্ছে। এভাবে আপনি খুব সহজে আপনার হারানোর মোবাইলটি কোথায় আছে জেনে নিতে পারবেন।
তাছাড়া Locate অংশ ব্যবহার করে আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার পরিবারের লোকের অবস্থান সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। ধরুন-আপনার ছোট ভাইয়ের মোবাইলে একটি জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন করা আছে। আপনি চাইলে সেই জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে খুব সহজে সে কোথায় যাচ্ছে বা কোথায় আছে ইত্যাদি জেনে নিতে পারবেন। (বিঃদ্রঃ স্বামী বা স্ত্রী বা বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডকে মনিটর বা ট্র্যাকিং করার কারণে বিছিন্ন বা অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা ঘটলে সেই দায় সম্পূর্ণ আপনার নিজের)
তাছাড়া পাশের Ring আইকনে ক্লিক করলে ফোন সাইলেন্ট থাকলেও আপনার ফোনটি অটোমেটিক ভেজে উঠবে। মোবাইলটি যদি চোরে নিয়ে থাকে কিংবা ছিনতাই হয়ে থাকে, তাহলে মোবাইল লক করে দিতে পারবেন। সেইসাথে মোবাইলের স্ক্রীনে একটা কন্টাক্ট নম্বর সেট করে দিতে পারবেন। এতেকরে চোর আপনার দেওয়া সেই নম্বর ছাড়া আর কোন নাম্বারে কল করতে পারবে না। সেই সাথে আপনার ফোনটি ফিরে দেওয়ার জন্য চোরকে ম্যাসেজ পাঠাতে পারবেন।
এ ছাড়াও শুধু তাই নয়, আপনার মোবাইলে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন-ফেসবুক, জিমেইল সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুতে লগইন অবস্থায় রাখা হয়, যা দিয়ে চোর অনেক খারাপ কিছু বা আপনার ক্ষতি করে ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রে উপরের চিত্রের অন্যান্য অপশন ব্যবহার করে আপনার চুরি হওয়া মোবাইলের যাবতীয় তথ্য মুছে দেওয়ার পাশাপাশি আরো অনেক কিছু করতে পারবেন।
আপনি থানা পুলিশের মাধ্যমে ফোনটি ফিরে পাওয়ার জন্য আপনার স্মার্টফোনের যাবতীয় তথ্য, সেটের মডেল নম্বর ও সিমের তথ্য দিয়ে কবে, কখন কীভাবে ফোনটি হারিয়েছে বিস্তারিত জানিয়ে থানার ওসে বরাবরে জিডি করার আবেদন করতে হবে। মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে উদ্ধারের জন্য অবশ্যই আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বার জানা থাকতে হবে। IMEI নাম্বার জানা থাকলে, থানা পুলিশের সাহায্যে সহজে মোবাইলের বর্তমান অবস্থান জানা যাবে।
মোবাইল গুগলে খুঁজার জন্য কী কী লাগবে?
- আপনার মোবাইলের Settings > Google > Security > Find My Device তে গিয়ে সেটি অন করে রাখতে হবে।
- মোবাইলের Location অপশনটি অন থাকতে হবে।
- আপনার স্মার্টফোনে অবশ্যই একটি জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন করা থাকতেই হবে।
- লগইন করা জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড জানা থাকতে হবে।
- চুরি হওয়া মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন অন থাকতে হবে।
চুরি হওয়া মোবাইল গুগলে খুঁজার উপায়
চুরি হওয়া মোবাইল গুগুলে খুঁজার জন্য আপনার চুরি হওয়া মোবাইলে যে জিমেইল একাউন্ট দিয়ে লগইন করা আছে সেই জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে যেকোন কম্পিউটার অথবা মোবাইল ব্রাউজার অপেন করে লগইন করতে হবে। তারপর গুগলে "Find My Phone" লিখে সার্চ করে অথবা সরাসরি লিংকে ক্লিক করলে নিচের চিত্রেরন্যায় আপনার গুগল একাউন্টের সাথে যতটি মোবাইল সংযুক্ত আছে সবগুলো তালিকা দেখতে পাবেন।উপরের চিত্রে দেখুন আমার জিমেইল আইডি দিয়ে যতগুলো ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে, সবগুলো ফোনের মডেল সহ তালিকা দেখাচ্ছে। এখান থেকে আপনার হারানো ফোনটিতে ক্লিক করে জিমেইল আইডি এর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলে নিচের অপশনগুলো দেখতে পাবেন।
উপরের চিত্রের এই অপশন ব্যবহার করে আপনার হারানো ফোনটি ঘরে বসেই নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। উপরের চিত্রে তীর চিহ্নিত অংশে ক্লিক করে আপনার ফোনটি কোথায় আছে সেটি জেনে নিতে পারবেন।
উপরের চিত্রে দেখুন Locate এ ক্লিক করা মাত্র গুগল ম্যাপের মাধ্যমে গুগল আমার ফোনের বর্তমান অবস্থান দেখাচ্ছে। এভাবে আপনি খুব সহজে আপনার হারানোর মোবাইলটি কোথায় আছে জেনে নিতে পারবেন।
তাছাড়া Locate অংশ ব্যবহার করে আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার পরিবারের লোকের অবস্থান সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। ধরুন-আপনার ছোট ভাইয়ের মোবাইলে একটি জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন করা আছে। আপনি চাইলে সেই জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে খুব সহজে সে কোথায় যাচ্ছে বা কোথায় আছে ইত্যাদি জেনে নিতে পারবেন। (বিঃদ্রঃ স্বামী বা স্ত্রী বা বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডকে মনিটর বা ট্র্যাকিং করার কারণে বিছিন্ন বা অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা ঘটলে সেই দায় সম্পূর্ণ আপনার নিজের)
তাছাড়া পাশের Ring আইকনে ক্লিক করলে ফোন সাইলেন্ট থাকলেও আপনার ফোনটি অটোমেটিক ভেজে উঠবে। মোবাইলটি যদি চোরে নিয়ে থাকে কিংবা ছিনতাই হয়ে থাকে, তাহলে মোবাইল লক করে দিতে পারবেন। সেইসাথে মোবাইলের স্ক্রীনে একটা কন্টাক্ট নম্বর সেট করে দিতে পারবেন। এতেকরে চোর আপনার দেওয়া সেই নম্বর ছাড়া আর কোন নাম্বারে কল করতে পারবে না। সেই সাথে আপনার ফোনটি ফিরে দেওয়ার জন্য চোরকে ম্যাসেজ পাঠাতে পারবেন।
এ ছাড়াও শুধু তাই নয়, আপনার মোবাইলে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন-ফেসবুক, জিমেইল সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুতে লগইন অবস্থায় রাখা হয়, যা দিয়ে চোর অনেক খারাপ কিছু বা আপনার ক্ষতি করে ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রে উপরের চিত্রের অন্যান্য অপশন ব্যবহার করে আপনার চুরি হওয়া মোবাইলের যাবতীয় তথ্য মুছে দেওয়ার পাশাপাশি আরো অনেক কিছু করতে পারবেন।
থানা পুলিশের মাধ্যমে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার উপায়
চুরি বা ছিনতাই হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনার নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। কারণ মোবাইলে থাকা আপনার সিম দিয়ে অপরাধীরা গুরুতর কোনো অপরাধ করলে প্রাথমিক অবস্থায় সম্পূর্ণ অপরাধের দায়ভার আপনার উপর বর্তাবে। সে জন্য মোবাইল হারানোর সঙ্গে সঙ্গে কলসেন্টার হতে আপনার সিমটি লক করে নিবেন।আপনি থানা পুলিশের মাধ্যমে ফোনটি ফিরে পাওয়ার জন্য আপনার স্মার্টফোনের যাবতীয় তথ্য, সেটের মডেল নম্বর ও সিমের তথ্য দিয়ে কবে, কখন কীভাবে ফোনটি হারিয়েছে বিস্তারিত জানিয়ে থানার ওসে বরাবরে জিডি করার আবেদন করতে হবে। মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে উদ্ধারের জন্য অবশ্যই আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বার জানা থাকতে হবে। IMEI নাম্বার জানা থাকলে, থানা পুলিশের সাহায্যে সহজে মোবাইলের বর্তমান অবস্থান জানা যাবে।
মোবাইল চুরির জিডি
আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক থানা শুনলে ভয় পান। এখানে আপনার চুরি হওয়া বা হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার জিডি বা মোবাইল চুরির জিডি করার জন্য আপনার কোন ভয় নাই। আপনি প্রথমে আপনার ফোনের মডেল, IMEI নম্বর সহ যাবতীয় তথ্য কম্পিউটার টাইপ করা কাগজে উল্লেখ করে থানার ওসি বরাবরে একটি জিডি’র আবেদন করবেন। তারপর কম্পিউটারে টাইপ করা জিডি সহ আপনি নিজে থানার ডিউটি অফিসারের কাছে হাজির হলে, ডিউটি অফিসার কোন টাকা পয়সা ছাড়া আপনার জিডি’র আবেদন গ্রহন করতঃ আবেদনটি ডায়রিভূক্ত করে আপনাকে জিডি’র এক কপি বুঝিয়ে দেবেন।
তারপর জিডির অবিকল কপি একজন তদন্তকারী অফিসারের কাছে দেওয়া হবে। তখন আপনি তদন্তকারী অফিসারকে কিভাবে মোবাইল হারিয়েছে, কোথা থেকে হারিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি তথ্য দিলে তিনি মোবাইল ফোনের লকেশন ট্রাক করতে থাকবেন। আপনার চুরি হওয়া মোবাইলটি বন্ধ থাকলে তদন্তকারী অফিসার আপনার জন্য কিছুই করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু দিন ধৈর্য্যধারণ করতে হবে। চোর যখন আপনার ফোনটি খুলবে, তখন তদন্তকারী অফিসার ফোনের লোকেশন জেনে নিয়ে মোবাইলটি উদ্ধার করতে পারবেন।
তারপর জিডির অবিকল কপি একজন তদন্তকারী অফিসারের কাছে দেওয়া হবে। তখন আপনি তদন্তকারী অফিসারকে কিভাবে মোবাইল হারিয়েছে, কোথা থেকে হারিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি তথ্য দিলে তিনি মোবাইল ফোনের লকেশন ট্রাক করতে থাকবেন। আপনার চুরি হওয়া মোবাইলটি বন্ধ থাকলে তদন্তকারী অফিসার আপনার জন্য কিছুই করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু দিন ধৈর্য্যধারণ করতে হবে। চোর যখন আপনার ফোনটি খুলবে, তখন তদন্তকারী অফিসার ফোনের লোকেশন জেনে নিয়ে মোবাইলটি উদ্ধার করতে পারবেন।
কেন থানায় জিডি করা প্রয়োজন?
মোবাইল কমদামী হলে বা মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু না থাকলে কিংবা মোবাইল চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া য়ায় না, এমনটা মনেকরে অধিকাংশ লোক হারানো মোবাইলের বিষয়ে থানায় জিডি করতে চান না। মোবাইলে কিছু থাকুক বা না থাকুক আপনার মোবাইল ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে যাতে আপনার ঘাড়ে না পড়ে সেজন্য হলেও থানায় অবশ্যই জিডি করে রাখবেন। তাহলে আপনার চুরি হওয়া/হারিয়ে যাওয়া মোবাইল বা মোবাইলে সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করে কেউ যদি অপকর্ম করে, মামলা/ জিডির কপি দেখিয়ে সেটার দায় থেকে রক্ষা পেতে পারবেন।মোবাইল চুরির জিডি কিভাবে লিখবেন?
যেকোন বিষয়ে থানায় জিডি করতে হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করতে হয়। একটি হারানো মোবাইলের জিডি’র নমুনা নিচে দেওয়া হল।
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
কোতোয়ালি মডেল থানা
এসএমপি, সিলেট।
বিষয়ঃ সাধারণ ডায়েরী প্রসঙ্গে।
জনাব
আমি মোঃ মাজহারুল ইসলাম, পিতা-মোঃ আজির উদ্দিন, স্থায়ি ঠিকানঃ গ্রাম-লোহারমহল, ডাক-ঈদগাহ্বাজার, থানা-জকিগঞ্জ, জেলা-সিলেট, বর্তমান ঠিকানা-৪/ই, শেখঘাট সরকারী কোয়ার্টার, এসএমপি, সিলেট আপনার থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে সাধারণ ডায়রী করছি যে, আমার ছোট বোন মোছাঃ আফসানা মিম অদ্য ২০/০৫/২০২০ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় সিলেট শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ভার্সিটির সরকারী বাস ধরার লক্ষ্যে বাসা হতে রিক্স্রাযোগে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টে গেলে তথা হতে তিন চার জন ছিনতাইকারী আমার ছোট বোনের হাতে থাকা Samsung Galaxy S10 (যাহার IMEI নং-১৫৭৮৫৮৮৯৫৭৮২২৩৫) মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। তাছাড়া উক্ত মোবাইল সেটে আমার নামে নিবন্ধিত একটি সিম ছিল, যাহার নাম্বার ০১৭১০৩৪২XXX। আমার ও আমার বোনের ভবিষ্যত নিরাপত্তা বিবেচনায় ও ছিনতাইকৃত মোবাইলটি উদ্ধারের নিমিত্তে উপরোক্ত বিষয়টি আপনার থানায় সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করতঃ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা আবশ্যক।
অতএব, উপরোক্ত বিষয়টি আপনার থানায় সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করতঃ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে ব্যাধিত করবেন।
জিডি ডক ফরমেটজিডি পিডিএফজিডি পিকচার
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
কোতোয়ালি মডেল থানা
এসএমপি, সিলেট।
বিষয়ঃ সাধারণ ডায়েরী প্রসঙ্গে।
জনাব
আমি মোঃ মাজহারুল ইসলাম, পিতা-মোঃ আজির উদ্দিন, স্থায়ি ঠিকানঃ গ্রাম-লোহারমহল, ডাক-ঈদগাহ্বাজার, থানা-জকিগঞ্জ, জেলা-সিলেট, বর্তমান ঠিকানা-৪/ই, শেখঘাট সরকারী কোয়ার্টার, এসএমপি, সিলেট আপনার থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে সাধারণ ডায়রী করছি যে, আমার ছোট বোন মোছাঃ আফসানা মিম অদ্য ২০/০৫/২০২০ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় সিলেট শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ভার্সিটির সরকারী বাস ধরার লক্ষ্যে বাসা হতে রিক্স্রাযোগে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টে গেলে তথা হতে তিন চার জন ছিনতাইকারী আমার ছোট বোনের হাতে থাকা Samsung Galaxy S10 (যাহার IMEI নং-১৫৭৮৫৮৮৯৫৭৮২২৩৫) মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। তাছাড়া উক্ত মোবাইল সেটে আমার নামে নিবন্ধিত একটি সিম ছিল, যাহার নাম্বার ০১৭১০৩৪২XXX। আমার ও আমার বোনের ভবিষ্যত নিরাপত্তা বিবেচনায় ও ছিনতাইকৃত মোবাইলটি উদ্ধারের নিমিত্তে উপরোক্ত বিষয়টি আপনার থানায় সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করতঃ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা আবশ্যক।
অতএব, উপরোক্ত বিষয়টি আপনার থানায় সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করতঃ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে ব্যাধিত করবেন।
বিনীত
(মোঃ মাজহারুল ইসলাম)
৪/ই, শেখঘাট সরকারী কোয়ার্টার
এসএমপি, সিলেট।
মোবাঃ ০১৭১০৩৪২XXX
Post a Comment