FmD4FRX3FmXvDZXvGZT3FRFgNBP1w326w3z1NBMhNV5=
Your Ads Here
items

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে শতকরা হারে কমিশন লাভের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোট বা সেল করার একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়া। অনলাইনের মাধ্যমে কোন একটি পন্য ক্রেতাদের হাতে পৌছে দেওয়ার জন্য মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং সিস্টেম চালু হয়। অনলাইন হতে টাকা আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে সবচাইতে জনপ্রিয় পন্থা।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি সে বিষয়ে আলোচনা করার পূর্বে আমরা মার্কেটিং বিষয়টি আপনাদের ক্লিয়ার করার চেষ্টা করব। তারপর ধারাবাহিকভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কেন, কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয় এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করবেন সেই সকল বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা দেওয়ার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করব।

এফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে নিয়ে লেখা শুরু করার পূর্বে আমি প্রায় এক ঘন্টা ইন্টারনেটে বাংলা ও ইংরেজী ব্লগ/ওয়েবসাইটের এফিলিয়েট সংক্রান্ত অনেক পোস্ট পড়ে দেখেছি। আমার রিসার্চের পর দেখলাম যে, অধিকাংশ বাংলা ব্লগ বিভিন্ন ইংরেজী ব্লগ থেকে কনটেন্টগুলো সরাসরি গুগল ট্রান্সলেট টুলের মাধ্যমে অনুবাদ করে কপি পেষ্ট করে রেখে দিয়েছে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?


আর কয়েকটি ব্লগ এই বিষয়ে অনেকটা সুন্দরভাবে লেখেছে বা পরিষ্কার ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে সবগুলো লেখার মধ্যে লেখকগণ বার বার এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত সহজ বিষয়টাকে জঠিলভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেকগুলো ব্লগ পোস্ট পড়ার পর আমার কাছে মনেহয়েছে যে, প্রত্যেক লেখক বিষয়টা সহজভাবে নেয়নি। তারা সবাই এমনভাবে লেখেছেন যেন এটা খুব কঠিন ও জঠিল একটি বিষয়। অথচ এফিলিয়েট মার্কেটিং খুব সহজ ও নরমাল একটি বিষয়।

উপরের প্যারা পড়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ের বিষয়টিকে নরমালি নিবেন না। কারণ আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টি খুব সহজ বলেছি কিন্তু আয় করাটা সহজ বলিনি। ইন্টারনেট কিংবা অফলাইন বা বাস্তব জীবনের কর্মক্ষেত্রের কোন জায়গা থেকেই কেউই দক্ষতা, অভীজ্ঞতা ও পরিশ্রম ছাড়া টাকা ইনকাম করতে পারে না।

আর যারা কোন কাজে পরিশ্রম করে তারা সেই কাজে সফলতা অর্জন করে নেয়। এখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ের ক্ষেত্রেও আপনার মেধা, দক্ষতা ও শ্রম দিয়ে টাকা উপার্জন করতে হবে। আপনাকে একটি বিষয় পরিষ্কার মনে রাখতে হবে পৃথিবীর কোন কাজে শ্রম না দিয়ে কখনো সফলতা ও টাকা ইনকাম করা যায় না। কেউ যদি আপনাকে পরিশ্রম ব্যতীত এফিলিয়েট মার্কেটিং বা অন্য কোন অনলাইন মাধ্যম হতে সহজে টাকা আয়ের লোভনীয় রাস্তা দেখায় তবে সেটা কখনো বিশ্বাস করবেন না।

আমি আগেই আপনাকে বলেছিলাম এফিলিয়েট মার্কেটিং কি তা বুঝার পূর্বে মার্কেটিং বিষয়টি বুঝতে হবে। কারণ মার্কেটিং এর একটি অংশ হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আমি আপনাদের বিষয়টি সহজভাবে বুঝানোর জন্য প্রথমে মার্কেটিং বিষয়টি ক্লিযার করব। তারপর বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করব।

মার্কেটিং কি?

প্রথমে মার্কেটিং বিষয়টিকে আপনি অনলাইনের সাথে তুলনা করবেন না। এটাকে অফলাইন ভেবে আপনি নিজেই মনে করুন আসলে মার্কেটিং কি ও কিভাবে পন্য মার্কেটিং বা বাজারজাত করা হয়? সাধারণত পন্য বিনিময় বা ক্রয় বিক্রয়কে মার্কেটিং বলে। যে সকল পন্য আপনার কাছে রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন উপায়ে বাজারজাত করণ বা বিক্রয়ের পদ্ধতিই হচ্ছে মার্কেটিং।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি বিপণনের ব্যবস্থা যার মাধ্যমে একটি অনলাইন খুচরা বিক্রেতা তার রেফারেলগুলি থেকে উৎপন্ন ট্র্যাফিক বা বিক্রয়ের জন্য একটি বাহ্যিক ওয়েবসাইটে কমিশন প্রদান করে। অর্থাৎ যে সমস্ত কোম্পানি এফিলিয়েট এর জন্য অফার করে থাকে তাদের অটো সফটওয়্যার মাধ্যমে এফিলিয়েট বিক্রয়ের উপর বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটিং কমিশন দিয়ে থাকে। অনলাইন ভিত্তিক প্রোডাক্ট বিক্রি ও কমিশন ভিত্তিক আয়ের ক্ষেত্রে এফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং ব্যবস্থা।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক পন্য বাজারজাত করনের একটি প্রক্রিয়া। তবে আপনাকে এত গভীরে যেতে হবে না। সকলের বুঝার সুবিধার্তে সহজভাবে বলা যায় যে, অনলাইনে পন্য ক্রয় ও বিক্রয় সংক্রান্ত কোম্পানি বা প্রতিষ্টানের বিভিন্ন প্রোডাক্ট অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌছে দিয়ে কিংবা বিক্রয় করে বিক্রয়কৃত প্রোডাক্ট হতে শতকরা (%) হারে কমিশন লাভ করাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং

অর্থাৎ কোম্পানি আপনাকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট দেবে এবং আপনি সেই প্রোডাক্টগুলোর লিংক শেয়ারের মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে বিক্রয় করবেন। সবশেষে কোম্পানি আপনার বিক্রয়কৃত প্রোডাক্ট হতে মোট দামের উপর ১০% - ১৫% কমিশন আপনাকে দেবে। আসলে এটাই হচ্ছে আপনার ও আমার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আমি কিভাবে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট হাতে পাব? এখানে আপনাকে কোন প্রোডাক্ট হাতে দেওয়া হবে না। আপনি কোন একটি কোম্পানির ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করবেন। রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার জন্য সম্পূর্ণ ইউনিক একটি Url দেওয়া হবে।

তারপর আপনি যে সকল পন্য প্রমোট করতে চান সেই সকল পন্যের মধ্যে ক্লিক করে প্রত্যেকটি পন্যের আলাদা আলাদা Url নিতে পারবেন। তারপর আপনি সেই লিংকগুলো ক্রেতাদের কাছে পৌছাতে থাকবেন। কোন ক্রেতা যখন আপনার লিংকে ক্লিক করে কোন পন্য ক্রয় করবে তখন ঐ পন্যের মূল্য হতে শতকরা হারে কমিশন দেবে। মূলত এই প্রক্রিয়াকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?

আপনি হয়তো ইতোপূর্বে আপার বন্ধু বান্ধব ও বিভিন্ন ব্লগ পড়ে জানতে পেরেছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে হাজার হাজার ডলার আয় করা যায়। আপনি একদম ঠিক শুনেছেন। আপনার দক্ষতা ও অভীজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করলে আপনিও একসময় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন হতে মাসে হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করা পূর্বে আমি আপনাকে আরেকটি বিষয় ক্লিয়ার করে নেব।

এফিলিয়েট মার্কেটিং মূল কাজ হচ্ছে পন্যের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পন্য পৌছে দেওয়া। একটি উদাহরনের মাধ্যমে আমি বিষয়টি আরো ক্লিয়ার করার চেষ্টা করছি।

ধরুন আপনি বাস্তব জীবনে কোন একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি করলেন যে, কোম্পানির নিকট হতে বিভিন্ন ধরনের একশতটি পন্য নিবেন এবং সেগুলো আপনি বিক্রয় করে দেবেন। বিনিময়ে প্রত্যেকটি পনের বিক্রয়মূল্যের উপর কোম্পানি আপনাকে ১৫% হারে কমিশন দেবে। এ ক্ষেত্রে আপনি ঐ একশতটি পন্য ক্রেতাদের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য কি কি পন্থা অবলম্বন করবেন? আপনি পন্যগুলো বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে ক্রেতাদের কাছে পৌছাবেন এবং পন্যগুলোর ভালো দিক তুলে ধরবেন। এতেকরে ক্রেতা আপনার পন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ক্রয় করবে।

আমি আরেকটি উদাহরনের মাধ্যমে বিষয়টি আরো পরিষ্কার করছি। আপনি হয়ত গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন হাঠে ও বাজারে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রচার করতে দেখেছেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি বাজারে কাঙ্খিত পন্যের প্রমোটকারী বিভিন্ন গান বাজনার আয়োজন করে প্রথমে লোকজ জড় করে। গান বাজনার এক পর্যায়ে লোকজন জমা হলে তাদের পন্যগুলির ভালো দিক তুলে ধরে। যার ফলে দেখা যায় খুব সহজে প্রমোটকারী অনেক পন্য বিক্রয় করতে পারে।

ঠিক একইভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে যে প্রোডাক্ট নেবেন প্রথমে আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি সেই প্রোডাক্ট কিভাবে কাষ্টমারদের হাতে পৌছাতে পারবেন। এই কাজটি আপনি বিভিন্নভাবে করতে পারেন।

আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকলে সেই ব্লগে ঐ প্রোডাক্টগুলোর রিভিউ তৈরি করে পন্যের লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে ক্রেতাদের সেই পন্য ক্রয়ের জন্য কোম্পানির ওয়েবসাইটে পৌছে দিতে পারেন। তাছাড়া ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও ইমেইল সহ বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া সাইটে লিংক শেয়ার করেও পন্য ক্রয়ের জন্য ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে পারেন। তবে আপনারা যেই পদ্ধতিতে অবলম্বন করেন না কেন প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আপনার প্রচুর পরিমানে জনপ্রিয়তা থাকতে হবে। প্রথম দিকে জনপ্রিয়তা না থাকলেও কাজের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিতে হবে।

কেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?

আমরা প্রতিনিয়ত ঘরে বসেই অনলাইন থেকে আয় করার আইডিয়াগুলোর খোঁজ করতে থাকি। এমন আইডিয়াগুলোর খোঁজ করি যেন মোবাইল দিয়েই হঠাৎ ইনকাম করা যায়। প্রকৃতপক্ষে অনলাইন বলেন অফলাইন বলেন গণমাধ্যম থেকেই হঠাৎ ইনকাম করা যায়। অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার ছোট ছোট নলেজ প্রয়োজন এবং সেই বিষয় নিয়ে কাজ করার আগ্রহ থাকতে হবে। আপনি যদি অনলাইন থেকে শক্তি উপার্জন করতে চান, তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার ৭টি কারণ জেনে নিন।  তাহলে কেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা প্রয়োজন তা বুঝতে পারবেন।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? 
  • Affiliate marketing কিভাবে করে? 
  • কেন করবেন? 
  • চাহিদা কেমন? 
এসব প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে অনলাইনে অনেক লেখালেখি হয়েছে। তাই আর এসব বিষয়ে লেখালেখি করে আর সময় নষ্ট করতে চাই না। যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য এককথায় বর্ণনা হচ্ছে। আপনি যদি “No Risk, No Pain” ব্যথিত একজন উদ্যোক্তা হতে চান। তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আপনার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের সর্বোত্তম উপায়। আরো পড়ুন-- এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার গাইডলাইন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার ৭টি কারণ 

আজকে আমরা এখানে এমন ৭টি কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যে কারণগুলো জানার পরে আপনি অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো বুঝতে পারবেন। এগুলো জানার পর। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার  শুরু করা প্রয়োজন কিনা তা আপনি খুব ভালভাবেই বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক:-

১. সাধারণ বিজনেস মডেল –

এটি খুবই সাধারণ একটি বিজনেস। এজন্য আপনার বিজনেস শুরু করার জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে পরিকল্পনা করার প্রয়োজন হয় না। এই বিজনেস শুরু করার জন্য ১০ মিনিটের পরিকল্পনা যথেষ্ট হতে পারে। তবে বিজনেসটিতে দ্রুত সফলতা পেতে আপনাকে অনেক রিসার্চ ও পরিকল্পনা করতে হবে। যা বিজনেসটা শুরু করার পরেই আপনি ধীরে ধীরে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে পারবেন। নিচের ছবিটি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের বিজনেস মডেল –
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?
এখানে তিনটি সেক্টর আপনাকে ম্যানেজ করতে হবে। এই তিনটি সেক্টর আপনি ভালো করে ম্যানেজ করতে পারলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফলতা নিশ্চিত। সুতরাং আপনি আজ থেকে শুরু করতে পারেন এই সুবিধাজনক বিজনেসটা। যত সময় নিবেন ততটাই আপনি অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকবেন।

২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য নিজের কোন পণ্যের প্রয়োজন নেই –

এই বিজনেসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে। এই বিজনেসটা করার জন্য আপনাকে পণ্যের জন্য চিন্তা করতে হবে না। এখানে আপনি আপনার ইচ্ছে মতো লক্ষ লক্ষ পণ্য কোন ইনভেস্ট না করে বিক্রি করার মাধ্যমে প্রফিট করতে পারেন। আপনি যদি অ্যামাজনের মাধ্যমে এই বিজনেসটা শুরু করতে চান, তাহলে কয়েক লক্ষ পণ্য আপনি আপনার শপে যুক্ত করতে পারবেন। এখন আপনার কি কয়েক লক্ষ পণ্য নিয়ে বিজনেস শুরু করতে হবে?

আমি বলেছি আপনি যদি চান, তাহলে আপনি অ্যামাজনের লক্ষ কোটি পণ্য নিয়ে বিজনেস শুরু করতে পারেন। তবে এই নয় যে, আপনাকে সবগুলো পণ্য নিয়ে বিজনেস শুরু করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার জন্য কিছু কৌশল রয়েছে: তার মধ্যে একটি হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য বা নিশ আইডিয়া নিয়ে টার্গেট করে বিজনেস শুরু করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের পরামর্শ দিব। আপনারা জনপ্রিয় ও লো কম্পিটিশনের কিছু পণ্য নিয়ে এই বিজনেস শুরু করুণ। কি কি পণ্য নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে ভালো লাভবান হওয়া যায় সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য এখান থেকে --- এফিলিয়েট মার্কেটিং নিশ আইডিয়া জেনে নিন। 

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেসে রয়েছে নো-ইনভেস্ট ও লো-ইনভেস্ট সুবিধা –

মূলত লো ইনভেস্ট ও নো ইনভেস্ট সুবিধার জন্য এই বিজনেসটি বিখ্যাত বলে জানা যায়। কারণ আপনারা ভালো জানেন। কোন বিজনেস টাকা ছাড়া শুরু করার পরিকল্পনা করা যায় না। আপনি যে বিজনেসটা শুরু করতে চান না কেন। কিন্তু আপনি চাইলে এই বিজনেসটা কোন ইনভেস্ট না করে। অর্থাৎ কোন টাকা ছাড়া শুরু করতে পারেন। যেটাকে আমি বলেছি: লো-ইনভেস্ট ও নো-ইনভেস্ট সুবিধা।

লো-ইনভেস্ট নাকি নো-ইনভেস্ট কোনটা ভালো হবে?

কথায় আছে “সস্তার তিন অবস্থা”। ঠিক একই ভাবে বলতে পারি। যেখানে সস্তার তিন অবস্থা। সেখানে ফ্রীতে হলে অবশ্যই আপনার (ফ – তে) ফকিরের অবস্থা হতে পারে। কিছু মনে করবেন না। আমি জাস্ট মজা করলাম। আপনি যদি ধর্য্য নিয়ে কাজ করতে পারেন, তাহলে আপনি অবশ্যই ফ্রীতেও সফল হতে পারবেন। তবে ফ্রী পদ্ধতিতে অনেক গুলো সমস্যা রয়েছে:
  • ইচ্ছে মতো এসইও করতে পারবেন না
  • প্রিমিয়াম টুলস ব্যবহার করা যায় না
  • মানুষের বিশ্বাস কম থাকে, ইত্যাদি।
এজন্য আমি আপনাদের পরামর্শ দিব। আপনি যদি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হোন। তাহলে আপনি লো-ইনভেস্ট দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস শুরু করুন।

৪. আবেগ থেকে আজীবন ইনকাম করার দারুণ সুবিধা –

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস একটি আজীবন ইনকাম করার সর্বোত্তম উপায়। পৃথিবীতে এমন বিজনেস খুবই কম সংখ্যক আছে। যেখান থেকে আজীবন ইনকাম করা যায়। নিজের আবেগকে কাজে লাগিয়ে একটু সময় নিয়ে যদি একবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের বিজনেস দাঁড় করাতে পারেন। তাহলে নোটেনশন জীবনের সুযোগ উপভোগ করতে পারবেন। 

একটা সময় যাওয়ার পর বিজনেস যদি একটা নির্দিষ্ট অবস্থানে পৌছে যায়, তখন আপনি কোনো কাজ না করলেও আজীবন প্রফিট করতে পারেন এই বিজনেস থেকে। সুতরাং আপনি চাইলে আজ থেকে শুরু করতে পারেন এমন সুবিধাজনক স্বপ্নের Affiliate marketing বিজনেস।

৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি লো-রিস্ক বিজনেস–

বিজনেস করতে গেলেই লাভ লোকসান শব্দের ব্যবহার থাকবেই। লাভ লোকসান ছাড়া কোন বিজনেস করা সম্ভব নয়। ঠিক একই ভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেসেও সামান্য রিস্ক রয়েছে। মূলত এই রিস্ককে রিস্ক বলা যায় না। তাও বিজনেস বলে কথা!!! তাই রিস্ক এর হিসাবটাও দেখাতে হবে। 

আপনি যদি একটা প্রিমিয়াম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস শুরু করেন। তাহলে আপনার অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে ভালো ইনকাম নাও হতে পারে। তাই আপনাকে আরও বেশি সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা ১০০ ভাগ সত্য যদি আপনার কোন অবহেলা না থাকে, তাহলে আপনি কখনও লোকসান করবেননা।

৬. যে কোন পণ্য নিয়ে বিজনেস করার স্বাধীনতা রয়েছে–

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনার বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে আপনি আপনার ইচ্ছে মতো যেকোন পণ্য নিয়ে বিজনেস শুরু করতে পারেন। এবং আপনার ইচ্ছে মতো যেকোন সময়  পণ্যের ক্যাটাগরি পরিবর্তনও করতে পারেন। আপনি আশাকরি বুঝতে পারছেন এমন বিজনেস খুবই কম আছে। যেখানে এতো বেশি সুবিধা ও স্বাধীনতা রয়েছে। তাই নিজের ইচ্ছে মতো বিজনেস করতে চাইলে শুরু করতে পারেন Affiliate marketing এর বিজনেস।

৭. বিশ্বজুড়ে বিজনেস করার সুবিধা–

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস এমন একটি বিজনেস। যেখানে নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। আপনি এই বিজনেস সারা বিশ্বজুড়ে করতে পারবেন। আপনি বাংলাদেশে বসে আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান সহ বিশ্বের যতগুলো দেশ রয়েছে সবগুলোতে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। তবে আপনাকে এটা লক্ষ রাখতে হবে। 

আপনি যে কোম্পানির হয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস করছেন। তারা তাদের পণ্য আপনার মার্কেটিং করা দেশে বিক্রি করছে কিনা। আপনার মার্কেটিং করা দেশে যদি তারা বিক্রি না করে, তাহলে আপনিও সেখানে বিক্রি করতে পারবেন না।

জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট কোনটি?

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য লক্ষ লক্ষ কোম্পানি রয়েছে। তন্মধ্যে কিছু ভালোমানের কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর প্রচুর পরিমানে প্রোডাক্ট রয়েছে এবং তারা ভালোমানের হারে মার্কেটারদের কমিশন পরিশোধ করে। নিচে কয়েকটি ভালোমানের এফিলিয়েট কোম্পানির নাম তুলে ধরছি যেগুলোতে কাজ করে দীর্ঘদিন টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • ShareASale Affiliates.
  • Amazon Associates. (সবচাইতে বেশী পরিচিত)
  • eBay Partners.
  • Shopify Affiliate Program.
  • Clickbank.
  • Rakuten Marketing Affiliates.
  • Leadpages Partner Program.
  • StudioPress Affiliate Website.

কিভাবে বেশী আয় করা যাবে?

প্রথমেই বলে রাখছি আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য ধারন করে দীর্ঘ দিন পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে ধীরে ধীরে সফলতা আপনার হাতে ধরা দেবে। তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় বড়ানোর জন্য অবশ্য কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হয়। সাধারণত অনলাইন হতে মানুষ যে সকল পন্য বেশী কিনে থাকে সেগুলো নিয়ে কাজ করলে সহজে আয় বৃদ্ধি করা যায়।

আপনি যদি এমন জিনিস পছন্দ করেন যেগুলোর অফলাইনে চাহিদা রয়েছে কিন্তু অনলাইনে চাহিদা খুব কম তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল বা লাভবান হতে পারবেন না। এ জন্য যে সকল পন্যের অনলাইনে প্রচুর পরিমানে চাহিদা রয়েছে সেই সকল পন্যের রিভিউ করে লিংক শেয়ার করলে সহজে  বেশী টাকা ইনকাম করা যাবে।

তবে আরেকটি বিষয় ক্লিয়ার করে নিচ্ছি যে, আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটর এর কনটেন্ট ইংরেজী হলে আয় বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কারণ বাংলাদেশের মানুষ এখানো পর্যন্ত অনলাইন হতে তেমন কোন প্রোডাক্ট কেনাকাঠা করে না। কাজেই আপনি বাংলা ভাষায় ব্লগিং করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এ ক্ষেত্রে ইংরেজী ভাষায় আর্টিকেল শেয়ার করে চাহিদা সম্পন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারলে খুব অল্প দিনে বেশী টাকা আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে পরামর্শ

কাজ শুরু করার আগে আপনার একটি নিজেস্ব ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিবেন। আপনি যদি ফ্রিতে ব্লগ তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই গুগল ব্লগার দিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন। তবে ব্লগ ডিজাইন ও সাজানো শেষ হওয়ার পর একটি টপ লেভেলের ডট কম কিংবা ডট নেট ডোমেইন সেট করে নিবেন।

তারপর আপনি যে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন সেই প্রোডাক্ট এর রিভিউ তৈরি করতে থাকবেন। ব্লগের যখন ১৫/২০ টি পোষ্ট হয়ে যাবে তখন ব্লগের এসইও সংক্রান্ত কাজ শুরু করবেন। কারণ এসইও ছাড়া কোনভাবে ব্লগের প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব হবে না। আর আপনার পন্য ক্রেতাদের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য ব্লগে অবশ্যই ভিজিটর প্রয়োজন হবে। আপনার ব্লগে যত বেশী ভিজিটর আসবে আপনার পন্য তত বেশী বিক্রয় হবে।

তাছাড়াও আপনি যদি ফেইসবুক পেজ, ফেইসবুক গ্রুপ, ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ, টুইটার, ইউটিউব চ্যানেল, ওয়াটসআপ চ্যাট ম্যাসেঞ্জার সহ আরো অন্যান্য সোসিয়াল মিডিয়াতে প্রচুর পরিমানে জনপ্রিয়তা সম্পন্ন হন তাহলে সেগুলোতেও আপনার ব্লগের লিংক ও সরাসরি পন্যের লিংক শেয়ার করেও পন্য প্রমোট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তবে যেটাই করেন না কেন আপনাকে পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজ করে সফলতা ও ইনকাম বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে পরিশ্রম ব্যতীত কোনভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা সম্ভব হবে না।

শেষ কথা

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন ও এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট কোনগুলো, সেই সম্পর্কে আপনি মোটামুটি ধারনা পেয়েছেন। আমাদের দেখানো সবগুলো টিপস অনুসরণ করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে আপনি একদিন অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালোমানের স্মার্ট এমাউন্ট ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

0/Post a Comment/Comments

Partner

Your Ads Here
73745675015091643
Your Ads Here
Your Ads Here