FmD4FRX3FmXvDZXvGZT3FRFgNBP1w326w3z1NBMhNV5=
Your Ads Here
items

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং করে পন্যের প্রচার বা বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হলো সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং প্লাটফর্ম। সুতরাং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ অভীজ্ঞতা অর্জন করতে চাইলে আপনি আজকের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। কারণ এই আর্টিকেলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং রিলেটেড যাবতীয় বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করা হবে।

বর্তমানে মার্কেটিং করার জন্য যতগুলো স্ট্রাটেজি আছে তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার স্ট্রাটেজি গুলো ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই আপনি যদি সেই স্ট্রাটেজি গুলোকে অনুসরণ না করেন তাহলে আপনার পন্যের প্রচারে অন্যদের তুলনায় অনেকনগুন পিছিয়ে থাকবেন। যা ডিজিটাল যুগে আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য মোটেও সুফল বয়ে আনবে না।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?



কারন বর্তমানে যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। সেগুলোর Active User এর সংখ্যা দেখলে আপনি রিতীমত অবাক হয়ে যাবেন। আজকের দিনে প্রত্যেকটা জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজার এর সংখ্যা প্রায় বিলিয়ন এর কোঠায় পৌঁছে গিয়েছে।

এখন এই সুযোগে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আপনি যদি মার্কেটিং করার কৌশল গুলো প্রয়োগ করেন তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যনে পন্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে খুব সহজে আপনার প্রোডাক্টের অনেক গুন বেশি পরিমানে সেল বৃদ্ধি করতে পারবেন। যা আপনার Marketing Career কে অন্য লেভেলে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে আরো জানতে পড়ুন—
তাই আপনাকেও এই সুযোগকে কাজে লাগানো উচিত এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করার জন্য যতগুলো হিডেন Tips & Tricks রয়েছে। সে সব গুলো ট্রিক্স সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।

আর আজকের আর্টিকেলটি মূলত সেই উদ্দেশ্যই লেখা হয়েছে। যদি আপনার অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে জিরো নলেজ থাকে। তাহলে আপনাকে Pro Level এ পৌঁছানোর জন্য আজকের আর্টিকেলটি যথেষ্ট ভূমিকা পালন করবে।

[💡NOTE: আলোচনা করার পাশাপাশি আজকে কিছু হিডেন কৌশল সম্পর্কে জানাবো। যেগুলো একজন অনলাইন মার্কেটার ধারনা রাখা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়]

সো, এসব রোবোটিক কথাবার্তা বাদ দিয়ে চলুন আমরা সরাসরি মূল টপিকে ফিরে যাই। আর আপনার হাতে শুধুমাত্র ১০ টা মিনিট সময় নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করুন। তাহলে কথা দিচ্ছি, আজকের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?

আচ্ছা আপনি সোশ্যাল মিডিয়া বলতে কি বোঝেন? সাধারণত অনলাইনে যেসব সামাজিক যোগোযোগের মাধ্যম রয়েছে সেই মাধ্যম গুলোকেই বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া। বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচাইতে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া। এতটুকো বুঝতে পারলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সহজে বুঝতে পারবেন। এখন আমরা দেখবো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? 

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে যখন কেউ মার্কেটিং করে তখন সেই মার্কেটিং করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়াতে (ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম) যখন কোন পন্য বা সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় বা প্রচার করা হয় তখন সেই মার্কেটিংকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। সেটা হতে পারে আপনার কোনো ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার কিংবা প্রসারের জন্য। অথবা হতে পারে আপনার প্রতিষ্ঠানের কোনো পন্যের প্রচারের জন্য।

কিছুই বুঝেন নাই, তাইনা? ওয়েট, বিষয়টি নিয়ে আরেকটু ক্লিয়ার করা যাক। তা না হলে পরবর্তী আলোচনা গুলোর কিছুই বুঝতে পারবেন না। নিচে উদাহরণ পড়ুন—

মনে করুন আপনার একটি Online Shop আছে। সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বিক্রি করে থাকেন। এখন আপনি চিন্তা করলেন যে, আপনার সেই অনলাইন শপ সম্পর্কে যেন আরও মানুষ জানতে পারে এবং তারা যেন আপনার ইলেকট্রনিকস পন্য গুলো কিনতে আগ্রহী হয়। সেজন্য আপনাকে Social Media গুলোকে কাজে লাগাতে হবে।

যেমন ধরুন, আপনি মার্কেটিং করার জন্য Facebook কে বেছে নিলেন এবং ফেসবুকে গিয়ে আপনার পন্যের প্রচার করলেন। যার ফলে কিন্তু অনেক মানুষ আপনার সেই অনলাইন শপ সম্পর্কে জানতে পারবে। সেই সাথে অনেকেই আপনার ইলেকট্রনিক পন্য গুলো কিনতে আগ্রহী হবে। মূলত এই প্রক্রিয়াকে এক কথায় বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

কেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন?

আমি উপরে একটা কথা বলেছিলাম যে, বর্তমানে আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি। যে সময়টাতে আমরা নিজের অজান্তেই সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছি। আর এ প্রযুক্তি নির্ভরতার বেশিরভাগ জায়গা দখল করেছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম।

এখন এই কথার সাথে আপনি একমত হতে পারবেন কিনা, তা আমি বলতে পারব না। তবে আপনি নিজের দিক থেকে একটু খেয়াল করে দেখুন। আপনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোট কতবার Facebook কিংবা YouTube এর মত সোশ্যাল মিডয়া প্লাটফর্মে মোট কতটুকু সময় ব্যয় করেছেন। তার কি কোন খেয়াল করে দেখেছেন?
কেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন?
তবে শুধু আপননি নন, বরং আপনার মতো আরও বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ আছে, যারা আপনার থেকেও বেশি সময় ব্যয় করে এই Social প্লাটফর্ম গুলোতে। আর যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা পন্যের প্রচারের জন্য আপনাকে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। কেননা, যখন আপনার হাতে হিউজ পরিমানে অডিয়্যান্স থাকবে তখন আপনার প্রতিষ্ঠানটি খুব সহজেই প্রসার লাভ করবে। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা

সো, যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করার চিন্তা করেন। তাহলে আপনি অনেক দিক থেকে বেনিফিট পাবেন। তবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার সময় আপনি মোট দুই ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন—
  1. Targeted Audience
  2. Close To Audience  
আপনি প্রধানত এই দুটি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। প্রথমত, আপনি খুব সহজেই আপনার আশানুরূপ অডিয়্যান্সকে খুজে নিতে পারবেন। কারন আপনি ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন যে, বর্তমানে Social Media গুলোতে অনেক বেশি একটিভ ইউজার রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য যেসব অডিয়্যান্সকে আপনি টার্গেট করবেন, সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে সেই সব Audience কে খুব সহজেই খুজে নিতে পারবেন। যা আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রসার করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করবে।

পন্যের প্রচার চালানোর জন্য সবচাইতে বড় টার্গেট হচ্ছে কাঙ্খিত পন্যের কাঙ্খিত অডিয়্যান্স কোথায় আছে সেটা খোঁজে বের করা। অর্থাৎ আপনার পন্যের চাহিদা কোন জায়গায় বা প্লাটফর্মে রয়েছে সেটা খোঁজে বের করা। এই কাজটি করতে পারলে যে কোন পন্যের মার্কেটিং করা একদম সহজ হয়ে যায়।

ধরুন- আপনি একজন টি-শার্ট এর ব্যবসায়ি। এ ক্ষেত্রে আপনার টার্গেটেড অডিয়্যান্স হবে ১৫ থেকে ৩৫ বছরের পুরুষ মানুষ। কারণ নরমালি ১৫ থেকে ৩৫ বছরের অধিক বয়স্ক লোকজন টি-শার্ট ব্যবহার করে না। সুতরাং ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সের পুরুষ মানুষ যেখানে বেশি পরিমানে আছে সেই জায়গাতে আপনার টি-শার্টের বিজ্ঞাপন দিতে হবে। তাহলে খুব সহজে আপনার পন্যের প্রচার হবে এবং টি-শার্টের সেল বাড়বে।

যেহেতু ফেসবুক হচ্ছে নতুন (Young Generation) জেনারেশনদের আড্ডাখানা সেহেতু ফেসবুকে আপনার পন্যের কোটি কোটি অডিয়্যান্স রয়েছে। সেই সাথে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে অডিয়্যান্সের বয়স থেকে শুরু করে একদম ক্লোজ-টু-ক্লোজ বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় বলে সহজে যে কোন প্রোডাক্ট কাঙ্খিত ক্রেতা পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব হয়।

তাছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে যে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহজে অল্প খরছে তাদের পন্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারে। যা অন্যান্য প্লাটফর্ম যেমন টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও প্রিন্ট মিডিয়াতে ক্ষুদ্র বা মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহজে বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাইতে অন্যান্য মার্কেটিং ব্যবস্থাগুলো অনেক ব্যয়বহুল হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভ্যালু কেমন?

ভাই সব কাজেরই ভ্যালু আছে। আর কোন কাজের Value কেমন, তা আপনাকে নিজে থেকে খুজে নিতে হবে। যদি আপনি সঠিকভাবে কাজ করে যেতে পারেন তাহলে আপনি যে কোনো কাজের Value খুজে পাবেন।

যেমন ধরুন, এমন অনেকেই আছে যারা শুধুমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইন করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারছে। আবার এমন অনেকেই আছেন, যারা এসইও করে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছে। কাজেই ভ্যালু কতটা হবে সেটা আপনার কাজের কোয়ালিটি’র উপর ডিপেন্ড করবে।

ঠিক একইভাবে আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর স্ট্রাটেজিকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন, তাহলে আপনিও এই কাজের ভ্যালু খুজে পাবেন।

কিন্তুু আপনি যদি ডিমান্ড সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে বলবো, এটা সেই ডিমান্ডেবল একটা কাজ। কারন আমি আগেই বলছি, আমরা ধীরে ধীরে অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছি। আর আপনি যদি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমেই কিছু করতে চান, তাহলে আপনার জন্য তা সুফল বয়ে আনবে। তাই ডিমান্ড বা ভ্যালু নিয়ে কোনো প্রকার চিন্তা না করে আপনি সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ নিজেকে যুক্ত করতে পারেন।

কেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখবেন?

আপনি একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন, এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা YouTube থেকে প্রচুর পরিমানে ইনকাম করতে পারছে। আবার কিছু মানুষ আছে যারা ইনকাম তো দুরের কথা, তারা বছরের পর বছর কাজ করেও নিজের Channel কে গ্রো করতে পারছে না। আপনি কি বলতে পারবেন, এই বৈষম্যের কারন কি?

এর প্রধান কারন হলো, শেখার প্রক্রিয়া। যারা শুধু থেকে ইউটিউব সম্পর্কে জেনেছে, YouTube এর সকল ট্রিকস গুলো সম্পর্কে ধারনা নিতে পেরেছে। শুধুমাত্র সেই মানুষ গুলো ইউটিউবে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।

ঠিক একইভাবে যখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করতে চাইবেন। তখনও আপনাকে শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে এবং এই প্লাটফর্মকে বুঝতে হবে। কারন প্রত্যেকটা কাজের কিছু নিয়ম আছে।

আপনি যখন সেই কাজটি করবেন। তখন আপনাকেও সেই নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। ঠিক একইভাবে যখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন। তখনও আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম (Rules) মেনে চলতে হবে। কেউ আপনাকে বললো যে, Social Media তে মার্কেটিং করলে অনেক বেনিফিট পাওয়া যায়। আর এটা শোনার পর আপনিও এই কাজে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন। বিষয়টা আসলে সেরকম নয়। 

বরং যে কাজটি করবেন, সবার আগে উক্ত কাজ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তাই আপনি যখন নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত করতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এই মার্কেটিং সম্পর্কে শিখতে হবে। আপনাকে এই প্লাটফর্ম গুলোর হিডেন স্ট্রাটেজি গুলোকে খুজে নিতে হবে। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে শিখবো?

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আপনার জন্য বেশ কয়েকটি পথ উন্মুক্ত থাকবে। যথা—
  1. অর্থ প্রদান করে এবং 
  2. নিজের প্রচেষ্টায়।
আপনার জন্য শুধুমাত্র এই ২ (দুই) টি পথ খোলা থাকবে। আপনি যে কোনো একটি মাধ্যমে শিখে নিতে পারবেন। চলুন বিষয়টা নিয়ে একটু ক্লিয়ার ধারনা নেয়া যাক—

এখানে অর্থ প্রদান বলতে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, আপনাকে টাকা ব্যয় করতে হবে। কারন আপনি যদি কোনো মেন্টরের কাছ থেকে মার্কেটিং শিখতে চান। তাহলে আপনাকে পেইড কোর্স কিনতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু টাকা গুনতে হবে।

পক্ষান্তরে আপনি যদি চান যে, কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় না করে আপনার নিজের চেষ্টায় মার্কেটিং শিখবেন। তাহলে আপনাকে Google বা YouTube এর মতো প্লাটফর্ম গুলোর সহায়তা নিতে হবে। প্রথমত আপনি গুগল থেকেই অনেক কিছু জানতে পারবেন। এছাড়াও ইউটিউবে এমন অনেক ভিডিও আছে যেগুলো দেখে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং মার্কেটিং করার টিপস এন্ড ট্রিকস গুলো জানতে পারবেন।

[⚠️Warning: কোর্স কেনার সময় খুব সতর্ক থাকবেন। লক্ষ্য রাখবেন যেন, আপনার কষ্টের টাকা গুলো কোনো বাটপারের হাতে না যায়]

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ কি কি শিখতে হবে?

যখন আপনি নিজেকে এই সেক্টরের সাথে যুক্ত থাকবেন। তখন আপনাকে অনেক কিছু শিখতে হবে। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন, আপনি যা কিছুই শিখেন না কেন। শেখার লিমিট যেন একশ তে এক'শ হয়।

কারন "অল্প বিদ্যা ভয়ংকর"- এই বিষয়টি সম্পর্কেতো ভালো করেই জানেন। আর অনলাইনে যেসব সেক্টর রয়েছে সেগুলো স্বল্প জ্ঞানে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়বে। তাই আপনি যে বিষয়ে শিখবেন, সে বিষয়ে যেন কোনো প্রকার কমতি না থাকে, সে দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন।

সুতরাং যখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখবেন তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয়কে গুরুত্বের সাথে শিখে নিতে হবে। যেমন—

১। প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে হবে

সবার আগে আপনাকে এই দিকটি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনি আসলে কোন প্রোডাক্টের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে ইচ্ছুক। এটি আপনাকে সবার আগে খুজে নিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার আগে আপনার টার্গেটেড প্রোডাক্টকে খুজে নেওয়াটা জরুরী।

তবে এই প্রোডাক্টের ধরন একেক জনের কাছে একেক রকমের হতে পারে। যেমন, আপনার কোনো একটা অনলাইন শপ থাকতে পারে। কিংবা আপনার একটি কোম্পানি থাকতে পারে। সেটা সম্পূর্ন নির্ভর করবে আপনার উপর। 

২। টার্গেটেড অর্ডিয়্যান্স খোজে নেওয়া

তারপর আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে, আপনার প্রোডাক্ট গুলো কোন ধরনের মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যেমনটা আগে বলেছিলাম, একটি টি-শার্ট মহিলা মানুষ সহজে কিনবে না। অথবা একটি টি-শার্ট ৬০ বছরের বৃদ্ধ লোক কিনবে না। আপনার প্রোডাক্টের চাহিদা কোথায় আছে, কার কার কাছে আছে, সেটা বের করতে হবে?

[💡PRO TIPS: মনে রাখবেন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হলে অডিয়্যান্সের দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারন যতক্ষন আপনি আপনার Targeted Audience কে ডিটেক্ট করতে পারবেন না, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা সত্বেও সফলতার ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারবেন না]

হ্যাঁ! এটা সত্যি যে, আপনি অনলাইনে হোক কিংবা অফলাইনে। যখন আপনি মার্কেটিং সেক্টরের সাথে যুক্ত থাকবেন তখন আপনাকে আপনার অডিয়্যান্সকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি যদি একটি অনলাইন শপ দেন। তাহলে আপনার সেই শপে শুধুমাত্র সেই সব মানুষেরা কেনাবেচা করবে। যারা মূলত, অনলাইনে নিয়মিত একটিভ থাকে।

অপরদিকে আপনি যদি কৃষকদের জন্য কোনো প্রোডাক্ট অনলাইনে মার্কেটিং করতে চান। সেক্ষেত্রে কিনন্তু আপনি আশানুরূপ অডিয়্যান্সকে কাছে পাবেন না। কারন কৃষকরা কিন্তু কাজ করতে ভালোবাসে। তারা আমাদের মতো সারাদিন মোবাইল ফোনে Facebooking করতে পছন্দ করে না। 

[💡NOTE: তো প্রথমত আপনাকে নিজের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বুঝতে হবে। এরপর আপনাকে খুজে নিতে হবে যে, আপনার সেই প্রোডাক্ট গুলো আসলে কোন ধরনের মানুষদের জন্য যথোপযুক্ত]

৩। প্রোডাক্ট প্রমোশন এন্ড বুস্টিং

যখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে মার্কেটিং করতে চাইবেন তখন আপনি Promote বা Boosting শব্দ গুলোর সাথে পরিচিত হবেন। আর আপনার জেনে রাখা উচিত যে, এই সেক্টরে এই দুটো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

দেখুন, আপনি যখন Facebook ব্যবহার করেন তখন ফেসবুকের নিউজ ফিড স্ক্রল করতে করতে কোনো না কোনো সময় "Sponsored"- শব্দটি দেখতে পাবেন এবং নিচে কোনো ভিডিও বা পোষ্ট নজরে পড়বে। এগুলো হলো মূলত, আপনার মতো একজন ফেসবুককে টাকা দিয়েছে। যেন ফেসবুক তার পন্য বা কোম্পানি সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক মানুষকে জানিয়ে দেয়। 

কারন ফেসবুক হলো একটি সোশ্যাল মিডিয়া। আর আপনি যদি এই সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকেও একই পদ্ধতিতে অর্থ ব্যয় করে নির্দিষ্ট অডিয়্যান্সের কাছে পৌঁছাতে হবে।

[💡PRO TIPS: মনে রাখবেন, যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে চান। তাহলে Paid Promotion সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে। অন্যথায় আপনার সকল অর্থ এবং শ্রম জলে ভেসে যাবে ]

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোনগুলো?

বর্তমানে আপনি যদি এই সেক্টরের সাথে যুক্ত হতে চান। তাহলে আপনার সামনে এমন ডজন খানেক সোশ্যাল মিডিয়ার লিষ্ট দেওয়া যাবে। কিন্তু আপনার জন্য কোন মিডিয়া গুলো যথোপযুক্ত হবে তা আপনাকে নিজে থেকেই নির্বাচন করতে হবে।

বিষয়টি আর একটু ক্লিয়ার করলে মনে হয় আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। তাই একটু মনোযোগ দিয়ে কথাটা শুনে নিন। মনে করুন, আপনি বাংলাদেশি মানুষদের টার্গেট করে মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন। এখন আপনাকে খুজে নিতে হবে যে, বাংলাদেশের মানুষরা কোন সোশ্যাল প্লাটফর্ম গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে।

যেমন, আমাদের দেশে কিন্তু Facebook ও YouTube এর মতো সোশ্যাল প্লাটফর্ম গুলোতে সবচেয়ে বেশি একটিভ থাকে। এখন আপনি যদি এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে Twitter এ পেইড প্রোমোশন করেন। তাহলে কিন্তু আপনি ততোটা লাভবান হবেন না। যতোটা লাভবান হতে পারবেন ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে পেইড প্রোমোশন করে।

ঠিক এভাবেই আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি আসলে কোন দেশের মানুষকে টার্গেট করছেন এবং টার্গেট করা মানুষ গুলো কোন Social Media গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। 

জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সাইট

আপনার সুবিধার জন্য আমি বিশ্বের জনপ্রিয় কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার একটা লিষ্ট দিচ্ছি। আপনি এই লিষ্টের যেকোনো একটি বা অধিক সাইটকে কাজে লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনি আপনার পছন্দমতো এক বা অধিক সোশ্যাল মিডিয়াকে নির্বাচন করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন। 
  • YouTube
  • Facebook
  • Twitter
  • LinkedIn
  • Pinterest
  • Instagram
  • WhatsApp
  • Facebook Messenger
  • Quora

শেষকথা

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়েতো অনেক কথা বললাম। এখন আপনি আসলে কতটুকু বুঝতে পেরেছেন তা কিন্তু সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে আমি আপনাকে বুঝানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

তবে সব বিস্তারিত জানার পর যদি আপনার মনে কোনো প্রশ্ন থাকে। কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংসম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান। তাহলে আপনার জন্য কমেন্ট বক্স সর্বদাই উন্মুক্ত থাকবে। কমেন্ট করুন, আমি আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম। আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ---

0/Post a Comment/Comments

Partner

Your Ads Here
73745675015091643
Your Ads Here
Your Ads Here