কিভাবে এন্ড্রয়েড এপস বানানো যায়, কিভাবে ফ্রিতে এন্ড্রয়েড এপস বানানো যায়, এন্ড্রয়েড এপস বানানোর নিয়ম কি, কোডিং ছাড়া কিভাবে এন্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট করা যায়, কিভাবে নিজের নামে একটি ফ্রিতে এন্ড্রয়েড এপস বানানো যায়, এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায়?
এই সকল বিষয়ে জানতে চাইলে বা কোডিং দক্ষতা ছাড়া নিজের নামে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে চাইলে এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে। কারণ আমরা আজ এমন ৫টি ওয়েবসাইটের কথা বলব যেগুলো থেকে আপনি খুব সহজে নিজের নামে বা নিজের ব্লগ ও ওয়েবসাইটের নামে একটি ভালোমানের এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে পারবেন।
সাধারণত এন্ড্রয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট বা তৈরি করার জন্য অনেক ধরনের প্রোগ্রামিং জানতে হয়। হ্যাঁ, এটা সত্য যে, একটি প্রফেশনাল লেভেলের এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে হলে অবশ্যই আপনার কোডিং সম্পর্কে দক্ষতা থাকবে হবে। তবে আপনি যদি নরমাল কোন এপস, যেমন-ওয়েবসাইটের নামে এপস ও বইয়ের জন্য এপস তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি কোন ধরনের কোডিং দক্ষতা ছাড়া খুব সহজে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে পারবেন।
এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার লাভ কি?
আজকাল মোবাইলে প্রচলন এত পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে যেটা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না। সেই সাথে প্রোগ্রামাররা প্রতিদিন হাজার হাজার নিত্য নতুন এপস তৈরি করছে। গুগল প্লে-স্টোরে গেলে আপনি এখন হাজার হাজার বাংলা এপস দেখতে পাবেন। আসলে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে অনলাইন হতে টাকা আয় করা যায় বিধায় এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার প্রবনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এখনকার সময়ের ব্লগাররা প্রত্যেকে তাদের ব্লগের জন্য একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে পছন্দ করে। কারণ মানুষ এখন জনপ্রিয় ব্লগ ও ওয়েবসাইটগুলোর আর্টিকেল ব্রাউজারের মাধ্যমে পড়ার চাইতে এপস এর মাধ্যমে পড়তে বেশি পছন্দ করে। সেই সাথে এন্ড্রয়েড এপস মালিকরা গুগল প্লে-স্টোরে তাদের এন্ড্রয়েড এপস আপলোড করে গুগল এডমুব এর মাধ্যমে সহজে টাকা আয় করে নিচ্ছে।
এগুলো পড়তে পারেন—
এগুলো পড়তে পারেন—
আপনি গুগল প্লে-স্টোরে যে এন্ড্রয়েড এপস ডাউনলোড করে ব্যবহার করেন, সেগুলো শুধুমাত্র অমনি অমনি এন্ড্রয়েড এপস মালিকরা আপলোড করে রাখেনি। আপনার আমার মত কোটি কোটি লোক জনপ্রিয় এন্ড্রয়েড এপস গুগল প্লে-স্টোর হতে মোবাইলে ইনস্টল করে ব্যবহার করি।
আপনি হয়তো প্রায় সময় লক্ষ্য করে থাকেন যে, মোবাইলে ডাটা অন করা অবস্থায় কোন এপস অপেন করলে সেই এপস এ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন শো হয়। এই ধরনের বিজ্ঞাপনের কারনে হয়ত আপনি অনেক বিরক্ত হয়েছে। কিন্তু আপনি বুঝতেই পারছেন না যে, এন্ড্রয়েড এপস মালিকরা এ সব বিজ্ঞাপন হতে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
কিভাবে এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে আয় করা যায়?
এন্ড্রয়েড এপস এর মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে হবে। তারপর সেটি গুগল প্লে-স্টোরে একটি একাউন্ট তৈরি করে আপনার তৈরি করার এন্ড্রয়েড এপটি আপলোড করতে হবে।
গুগল প্লে-স্টোরে আপনার এন্ড্রয়েড এপটি রেজিস্টার করার পর মানুষ যখন আপনার এপটি ব্যবহার করতে শুরু করবে, তখন আপনি এন্ড্রয়েড এপস এর মাধ্যমে Google AdMob এর একাউন্ট তৈরি করে খুব সহজে গুগল এডসেন্স হতে টাকা আয় করতে পারবেন।
সাধারণত একটি ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য যে সকল ঝামেলা পোহাতে হয়, গুগল এডমুভ এর ক্ষেত্রে সে ধরনের কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে এডমুভ এর জন্য আবেদন করলে এডসেন্স অনুমোদ হয়ে যায়।
এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে এডমুভ পাওয়ার উপায়
আমি আগেও বলেছি এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে এডমুভ পাওয়া খুব সহজ। তারপর যারা জানেন না, তাদের জন্য স্টেপগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরছি। নিচের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে আপনার এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে গুগল এডমুভ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
- প্রথমে আপনার একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে হবে।
- তারপর আপনার এন্ড্রয়েড এপটি গুগল প্লে-স্টোরে আপলোড করার জন্য রেজিস্টার করতে হবে।
- আপনি এই লিংকে ক্লিক করে Google Play Console এ একটি একাউন্ট করে নিতে পারেন। গুগল প্লে-স্টোরে একাউন্ট করার জন্য আপনাকে ২৫ ডলার পে করতে হবে। কারণ প্লে-স্টোরে ফ্রিতে রেজিস্টার করা যায় না।
- একাউন্ট করার পর আপনার এন্ড্রয়েড এপস গুগল প্লে-স্টোরে আপলোড করতে হবে।
- তারপর আপনার এন্ড্রয়েড এপস এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে হবে।
- জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার পর গুগল এডমুভে আবেদন করতে হবে।
- সবশেষে যত লোক আপনার এপস ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দেখবে, আপনার আয় তত বৃদ্ধি পাবে।
- তাছাড়া কোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন সরাসরি এন্ড্রয়েড এপস এ শো করার মাধ্যমেও টাকা আয় করা যায়।
এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার ওয়েবসাইট
এতক্ষণ আমরা এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করলে কি কি সুবিধা আছে সেগুলো জেনে নিলাম। এখন আমরা দেখব কোন কোন ওয়েবসাইট হতে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে পারবেন। এখানে আমরা মোট ৫ টি ওয়েবসাইট রেফার করব যেগুলো থেকে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে পারবেন। তবে আমরা সবগুলো ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করবেন সেটি দেখাতে পারব না।
জনপ্রিয় ৫ টি এন্ড্রয়েড এপস মেকার
প্রথমে আমরা ৫টি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ফিচার্স ও সুবিধা নিয়ে আলোচন করব। সবশেষে যেটি সবচাইতে ভালো, সেটি দিয়ে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল শেয়ার করব।
১। Appy Pie দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি
Appy Pie হচ্ছে বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় এন্ড্রয়েড এপস মেকার ওয়েবসাইট। এটি দিয়ে মাত্র ৫ মিনেটে খুব সহজে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করা যায়। এই ওয়েবসাইটটির অনলাইনে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরা এই ওয়েবসাইট দিয়ে পোস্টের শেষাংশে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল শেয়ার করব।
এই ওয়েবসাইটের সবচাইতে সুবিধা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফাইল আপলোড করা যায়। আপনি যদি ই-বুক এপস তৈরি করতে চান, তাহলে এই সাইটের মাধ্যমে খুব সহজে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে পারবেন।
তাছাড়া এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে WhatsApp ও Facebook Messenger এর মত ম্যাসেজিং এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করা যায়। সেই সাথে আপনার যদি কোন ধরনের বিজ্ঞাপন থাকে, তাহলেও এটি দিয়ে সরাসরি ইনপুট করে এপস এর মধ্যে নিজেস্ব বিজ্ঞাপন শো করানো যায়।
আপনার যদি কোন ধরনের ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে কিংবা কোন আইটি সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান থাকে, তাহলে এই ওয়েবসইট দিয়ে ফ্রিতে একটিএন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে পারেন। এই অপস মেকার ওয়েবসাইটের আরো সুবিধা হচ্ছে, এরা এন্ড্রয়েড এপস ডিজাইন করার জন্য অসংখ্য ধরনের ডিজাইন রেখেছে। এখানে আপনি চাইলে আপনার মনেরমত করে ডিজাইন করে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে পারবেন।
২। Shoutem দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি
Shoutem এ কোডিং দক্ষতা ছাড়া ফ্রিতে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার জন্য বেশ জনপ্রিয়। এই এন্ড্রয়েড এপস মেকার ওয়েবসাইটটি ২০১১ সাল থেকে ফ্রিতে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে। অনলাইনে তাদের অনেক জনিপ্রয়তা রয়েছে। তাদের কাছেও এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার অসংখ্য ডিজাইন রয়েছে।
এই এন্ড্রয়েড এপস মেকার ওয়েবসাইটের দুটি অপশন রয়েছে। একটি হচ্ছে সম্পূর্ণ ফ্রি এবং অন্যটির জন্য কিছু টাকা পে করতে হয়। আপনার এন্ড্রয়েড এপকে প্রফেশনাল লেভেলে নিতে চাইলে তাদেরকে কিছু টাকা পে করতে হবে। তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড এপস এ সকল ধরনের এ্যাডভান্স অপশন যুক্ত করতে পারবেন।
Shoutem এন্ড্রয়েড এপস মেকার ওয়েবসাইট এর বড় সুবিধা হচ্ছে এটিতে সহজে বিভিন্ন ধরনের সামাজিন যোগাযোগের বটন যুক্ত করা যায়। এই এপস মেকার এর সোশ্যাল ডিজাইন এর বাটন ও অপশনগুলো বেশ আকর্ষণীয় ও দৃষ্টি নন্দন।
৩। BuildFire দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি
BuildFire বিশ্বের জনপ্রিয় এন্ড্রয়েড এপস ডেভেলপার কোম্পানি। এন্ড্রয়েড এপস ডেভেলপ করার বিষয়ে তাদের কাছে অনেক এক্সপার্ট রয়েছে। এ পর্যন্ত তারা বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির জন্য প্রায় ৩৫০০০ হাজার এর বেশি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে দিয়েছে। কাজেই বুঝতে পারছেন, এন্ড্রয়েড এপস তৈরির ক্ষেত্রে তাদের ওয়েবসাইট কতটুকো কার্যকর।
BuildFire ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করা যায়। বিশেষকরে এন্ড্রয়েড এপস খুব বেশি পরিমানে কাস্টমাইজ করার ক্ষেত্রে BuildFire সবচাইতে জনপ্রিয়। আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার মনেরমত করে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটেরও একটি ফ্রি ও একটি পেইড ভার্সন রয়েছে।
৪। GoodBarber দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি
GoodBarber হচ্ছে খুব জনপ্রিয় এন্ড্রয়েড এপস মেকার ওয়েবসাইট। আপনার কোন ধরনের কোডিং দক্ষতা না থাকলে খুব সহজে এটি দিয়ে নরমাল একটি এন্ড্রয়েড এপ তৈরি করে নিতে পারবেন। সাধারণ ইনটারফেসের একটি এন্ড্রয়েড এপ তৈরি করার ক্ষেত্রে এই ওয়েবসাইটটির অনলাইনে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
এটিও এন্ড্রয়েড এপস এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফাইল আপলোড করার সুযোগ দেয়। আপনি যদি ই-বুক এপস তৈরি করতে চান, তাহলে এই সাইটের মাধ্যমে খুব সহজে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে পারবেন।
৫। Mobincube দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি
Mobincube থেকে এন্ড্রয়েড এপস বানানো অনেক সোজা এবং এই এপস মেকার ওয়েবসাইট থেকে আপনারা অনেক এ্যাডভাস ও স্টাইলিশ এন্ড্রয়েড এপস তৈরি নিতে পারবেন। এখানে এন্ড্রয়েড এপস ছাড়াও উইন্ডোস মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন সহ আরো অনেক ধরণের অপারেটিং সিস্টেমের এপস ফ্রীতে তৈরি করা যায়। কোনো কোডিং ছাড়া আপনারা এখানে সুন্দর সুন্দর মোবাইল এপ বানিয়ে নিতে পারবেন।
এই এন্ড্রয়েড এপস মেকার ওয়েবসাইটের দুটি অপশন রয়েছে। একটি হচ্ছে সম্পূর্ণ ফ্রি এবং অন্যটির জন্য কিছু টাকা পে করতে হবে। আপনার এন্ড্রয়েড এপকে প্রফেশনাল লেভেলে নিতে চাইলে তাদেরকে কিছু টাকা পে করতে হবে। তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড এপস এ সকল ধরনের এ্যাডভান্স অপশন যুক্ত করতে পারবেন।
কিভাবে ফ্রিতে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করবেন?
উপরের আমি যে ৫টি এন্ড্রয়েড এপস মেকার ওয়েবসাইটের কথা বলেছি, এগুলোর প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি চাইলে খুব সহজে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল এপস তৈরি করতে পারবেন। আমি আগেও বলেছি যে, সবগুলো ওয়েবসাইট দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস বানানোর নিয়ম আমরা এই পোস্টে শেয়ার করতে পারব না। আমরা এখানে শুধুমাত্র একটি পদ্ধতিতে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার টিউটোরিয়াল শেয়ার করব। এগুলোর প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করা একদম সহজ। আপনি কিছু সময় নিজে নিজে বুঝার চেষ্টা করলে একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে পারবেন।
Appy Pie দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার নিয়ম
Appy Pie দিয়ে এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার জন্য প্রথমে Appy Pie অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের এপস মেকার পেজে ভিজিট করুন। Appy Pie ওয়েবসাইটের এপস মেকার পেজে গেলে নিচের অপশন দেখতে পাবেন।
এই পেজ থেকে আপনার এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার কাজ শুরু করতে হবে। এখানে উপরের চিত্রের তীর চিহ্নিত Create Your free app অপশনে ক্লিক করুন। Create Your free app অপশনে ক্লিক করা মাত্র নিচের অপশন শো হবে।
এই অংশে আপনার এন্ড্রয়েড এপস এর নাম টাইপ করে দিতে হবে। আপনার এন্ড্রয়েড এপস এর যে নাম দিতে চান, সেই নাম উপরের চিত্রের ১নং অংশে টাইপ করে Next এ ক্লিক করতে হবে। Next এ ক্লিক করা মাত্র নিচের চিত্রের ধাপটি দেখতে পাবেন।
এখানে আপনার এন্ড্রয়েড এপস এর একটি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে নেওয়ার জন্য বলছে। আপনার এপটি যে ক্যাটাগরির এখানে যেকোন একটি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দিবেন। একটি ক্যাটাগরিতে ক্লিক করার পর নিচের অপশন দেখতে পাবেন।
এই অংশে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন শো করছে। আপনার যে ডিজাইন পছন্দ হবে, আপনি সেটি সিলেক্ট করে দিবেন। উপরের চিত্রের ভালোভাবে দেখুন, এখানে Light ও Dark নামে দুটি অপশন আছে। Dark অপশনে ক্লিক করলে কালো রংয়ের ডিজাইন শো হবে। আপনার পছন্দের যেকোন একটি ডিজাইন সিলেক্ট করে Next এ ক্লিক করলে নিচের চিত্রের অপশন শো হবে।
আপনি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে চাইলে উপরের চিত্রের Android অপশনটিকে ক্লিক করবেন। আর যদি আইফোন এপ্লিকেশন তৈরি করতে চান, তাহলে iPhone এ ক্লিক করবেন। আমরা যেহেতু এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে চাই সেহেতু Android এ ক্লিক করব।
এখানে আপনার এন্ড্রয়েড এপস তৈরির পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য Save and Continue তে ক্লিক করুন। Save and Continue অপশনে ক্লিক করা মাত্র নিচের ধাপটি দেখতে পাবেন।
আপনার এন্ড্রয়েড এপটি তৈরি করার জন্য এখানে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনি চাইলে উপরের চিত্রের Continue with Google এ ক্লিক করে জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নতুন করে একাউন্ট ক্রিয়েট করার প্রয়োজন হবে না।
এখানে এন্ড্রয়েড এপস এর জন্য বিভিন্ন ধরনের Layout শো করবে। আপনার এপটি যে ডিজাইনের করতে চান, এখান থেকে সেটি সিলেক্ট করে দিতে পারেন। Layout সিলেক্ট করার পর Save and Contunue বাটনে ক্লিক করলে আপনার এন্ড্রয়েড এপস তৈরি হয়ে যাবে।
এখন আপনার তৈরি করা এন্ড্রয়েড এপটি মোবাইলে ইনস্টল করতে চাইলে, উপরের চিত্রের QR Code টিতে মোবাইল দিয়ে স্কেন করলে ডাউনলোড করার অপশন দেখতে পাবেন। তারপর ডাউনলোড করে নরমালি এপটি আপনার মোবাইলে ইনস্টল করতে পারবেন।
এই পেজ থেকে আপনার এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করার কাজ শুরু করতে হবে। এখানে উপরের চিত্রের তীর চিহ্নিত Create Your free app অপশনে ক্লিক করুন। Create Your free app অপশনে ক্লিক করা মাত্র নিচের অপশন শো হবে।
এই অংশে আপনার এন্ড্রয়েড এপস এর নাম টাইপ করে দিতে হবে। আপনার এন্ড্রয়েড এপস এর যে নাম দিতে চান, সেই নাম উপরের চিত্রের ১নং অংশে টাইপ করে Next এ ক্লিক করতে হবে। Next এ ক্লিক করা মাত্র নিচের চিত্রের ধাপটি দেখতে পাবেন।
এখানে আপনার এন্ড্রয়েড এপস এর একটি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে নেওয়ার জন্য বলছে। আপনার এপটি যে ক্যাটাগরির এখানে যেকোন একটি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দিবেন। একটি ক্যাটাগরিতে ক্লিক করার পর নিচের অপশন দেখতে পাবেন।
এই অংশে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন শো করছে। আপনার যে ডিজাইন পছন্দ হবে, আপনি সেটি সিলেক্ট করে দিবেন। উপরের চিত্রের ভালোভাবে দেখুন, এখানে Light ও Dark নামে দুটি অপশন আছে। Dark অপশনে ক্লিক করলে কালো রংয়ের ডিজাইন শো হবে। আপনার পছন্দের যেকোন একটি ডিজাইন সিলেক্ট করে Next এ ক্লিক করলে নিচের চিত্রের অপশন শো হবে।
আপনি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে চাইলে উপরের চিত্রের Android অপশনটিকে ক্লিক করবেন। আর যদি আইফোন এপ্লিকেশন তৈরি করতে চান, তাহলে iPhone এ ক্লিক করবেন। আমরা যেহেতু এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করতে চাই সেহেতু Android এ ক্লিক করব।
এখানে আপনার এন্ড্রয়েড এপস তৈরির পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য Save and Continue তে ক্লিক করুন। Save and Continue অপশনে ক্লিক করা মাত্র নিচের ধাপটি দেখতে পাবেন।
আপনার এন্ড্রয়েড এপটি তৈরি করার জন্য এখানে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনি চাইলে উপরের চিত্রের Continue with Google এ ক্লিক করে জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নতুন করে একাউন্ট ক্রিয়েট করার প্রয়োজন হবে না।
এখানে এন্ড্রয়েড এপস এর জন্য বিভিন্ন ধরনের Layout শো করবে। আপনার এপটি যে ডিজাইনের করতে চান, এখান থেকে সেটি সিলেক্ট করে দিতে পারেন। Layout সিলেক্ট করার পর Save and Contunue বাটনে ক্লিক করলে আপনার এন্ড্রয়েড এপস তৈরি হয়ে যাবে।
এখন আপনার তৈরি করা এন্ড্রয়েড এপটি মোবাইলে ইনস্টল করতে চাইলে, উপরের চিত্রের QR Code টিতে মোবাইল দিয়ে স্কেন করলে ডাউনলোড করার অপশন দেখতে পাবেন। তারপর ডাউনলোড করে নরমালি এপটি আপনার মোবাইলে ইনস্টল করতে পারবেন।
কিভাবে এপস ডিজাইন করবেন?
এখন আপনার তৈরি এপটির আরো অনেককিছু ডিজাইন ও পরিবর্তন করতে পারবেন। ডিজাইন করার জন্য বা এপস এ আরো তথ্য সংযোজন করার জন্য নিচের চিত্রের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
আপনার এন্ড্রয়েড এপটি ডিজাইন করার জন্য উপরের চিত্রের ১নং অংশে ক্লিক করে ২নং অংশের My Apps এ ক্লিক করুন। My Apps এ ক্লিক করার পর নিচের অপশনগুলো দেখতে পাবেন।
এখন এপস এডিট করার জন্য উপরের চিত্রের Edit আইকনটিতে ক্লিক করুন। Edit আইকনে ক্লিক করার পর নিচের চিত্রেরন্যায় অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন।
এই অংশে উপরের চিত্রের অপশনগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের অপশন দেখতে পারবেন। এগুলো আপনি নিজে নিজে বুঝতে পারবেন। মূলত এই অংশের মাধ্যমে আপনার এন্ড্রয়েড এপস এর ভীতরে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডাটা সংযুক্ত করবেন।
সাহায্য জিজ্ঞাসা
আপনি যদি নরমাল কোন কাজের জন্য এন্ড্রয়ে এপস তৈরি করতে চান, তাহলে এই পদ্ধতিতে আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি এন্ড্রয়েড এপস তৈরি করে নিতে পারেন। তবে প্রফেশনাল এপস তৈরি করতে চাইলে এখান থেকে ফ্রিতে করতে পারবেন না। প্রফেশনাল বা ভালোমানের এপস তৈরি করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই টাকা পে করতে হবে।
আশাকরি উপরের কোন স্টেপ বুঝতে আপনাদের কোন সমস্যা হবে না। কারণ এ ধরনের এপস তারাই তৈরি করতে চাইবে যারা আমার চাইতে আরো অধিক এক্সপার্ট। তারপরেও আমাদের কোন প্রয়োজন মনে করলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Post a Comment